Wednesday, March 29, 2017

দলের মধ্যে তাসকিন আহমেদের উপস্থিতি এমনিতেই একটু আলাদাভাবে দৃষ্টি কাড়ে। দীর্ঘদেহী, সুদর্শন, মুখে হাসি লেগে থাকে সারাক্ষণ। কাল আরও বেশি করেই যেন তাসকিন সবাইকে টানলেন।
অন্য ক্রিকেটাররাও লবিতে নামলে সাড়া পড়ে গেছে আলিয়া রিসোর্টের কর্মীদের মধ্যে। কিন্তু তাসকিন নামলে তাঁদের মধ্যে চাঞ্চল্যটা যেন একটু বেশিই হলো। কারণ ক্রিকেটের আসল গ্ল্যামার হলো পারফরম্যান্স। ২২ গজে আপনি ব্যাটিং কিংবা বোলিংয়ে জ্বলে উঠুন, পাদপ্রদীপের আলো আপনাকে ঘিরে ধরবেই। ডাম্বুলায় পরশুর পরিত্যক্ত ম্যাচে তাসকিনই সবটুকু আলো কেড়ে নিয়েছেন শেষ ওভারে ওই হ্যাটট্রিকটি করে। ৪ টেস্ট, ২৫ ওয়ানডে ও ১৪ টি-টোয়েন্টির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে যেটি তাঁর প্রথম হ্যাটট্রিক।

পরপর তিন বলে উইকেট নেওয়া—এটি আসলে পরিকল্পনা করে হয় না। হয়ে যায়। বলগুলো হয়তো যথাসাধ্য ভালো করার চেষ্টা করা যায়, কিন্তু ভাগ্যের ছোঁয়া লাগেই। তাসকিনও হ্যাটট্রিক করতে পেরে নিজেকে মানছেন ভাগ্যবান, ‘উইকেট পেতে আমরা চেষ্টা করতে পারি, তবে এটি আসলে ভাগ্যের ব্যাপার। স্রষ্টা সহায় ছিলেন, হয়ে গেছে। আমি ভাগ্যবান।’
শেষ বলটা করার আগে মিড অফে ফিল্ডার সৌম্য সরকার তাসকিনকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, ‘এটা কিন্তু তোর হ্যাটট্রিক বল, চেষ্টা কর, হয়ে যেতে পারে।’ বোলিং মার্কে দাঁড়িয়ে তাসকিনের মনে হলো হয়ে যেতে পারে, ‘আমার চোখে যেন কেমন উইকেট পড়ার দৃশ্যটা ভেসে উঠল। মনে হলো, হয়ে যাবে। ইয়র্কার দিলাম। ভালোই হলো, নুয়ান প্রদীপ বোল্ড। হ্যাটট্রিকটা হয়েই গেল! ওটা তো ব্যাটের কানায় লেগে চারও হয়ে যেতে পারত। আমি আসলে ভাগ্যবান, আল্লাহর রহমতে হয়ে গেছে।’

No comments:

Post a Comment

বৃষ্টির আগে তামিম মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং

দীর্ঘ প্রস্তুতির পর কেউই আশা করেনি, শুরুটা হবে এমন! প্রতিপক্ষ যখন আয়ারল্যান্ড, ৯ রানে কেন ২ উইকেট হারাতে হবে? শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেটা ক...