আইপিএল এর ২৩ তম ম্যাচে গুজরাট লায়ন্সের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আর এই ম্যাচের মধ্যদিয়েই আইপিএলের দশম আসরে মাঠে নামার সুযোগ হয় বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র এক বল খেলে ১ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। বোলিংয়ে শুরুতে সুযোগ পেলেও ওই ওভারে দিয়েছেন ৯ রান। তবে বোলিংয়ের উদাহরণ দিয়েছেন পরের দুই ওভারে। দ্বিতীয় ওভারে ১৫ ও তৃতীয় ওভারে দেন আরও ১০ রান। মোট ৩১ রান দিলেও ঝুলিতে ছিল না তার কোনও উইকেট। কলকাতার পরাজয়ের দিনে সাকিবের আইপিএল শুরুটা বিবর্ণ হল।
ইডেন গার্ডেনে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান সংগ্রহ করে কলকাতা। জবাবে ১৮.২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় গুজরাট। মূলত টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা গুজরাট লায়ন্সকে জিতিয়েছে। বিশেষ করে বললে বলতে হবে অধিনায়ক সুরেশ রায়নার অবদানের কথা।
ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে নেমে মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তিনি। ৪৬ বলে ৮৪ রান করে আউট হন। তার ইনিংসে ৯টি চারের পাশাপাশি ৪টি ছক্কার মারও ছিল। এ ছাড়া উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান অ্যারোন ফিঞ্চ ১৫ বলে ৩১ ও ব্রেন্ডান ম্যাককালাম ১৭ বলে ৩৩ রান করেন। অপরাজিত ১৯ রান করেন রবীন্দ্র জাদেজা। তাতে ১০ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় গুজরাট।
বল হাতে কলকাতার সব বোলারই মার খেয়েছেন। তারপরও ২টি করে উইকেট নিয়েছেন কুলদীপ যাদব ও নাথান কাল্টার নীল। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন ক্রিস ওকস ও উমেশ যাদব। সাকিব আল হাসান ৩ ওভারে ৩১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন। তার সঙ্গে ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন সুনীল নারিন।
নারিন অবশ্য ব্যাট হাতে পুষিয়ে দিয়েছেন। টস হেরে উদ্বোধনী জুটিতে ব্যাট করতে নেমে ১৭ বলে ৯ বাউন্ডারি ও ১ ওভার বাউন্ডারিতে ৪২ রান করেন। তার পরে রবীন উথাপ্পা ৪৮ বলে ৭২ রান করেন। তার সঙ্গে গৌতম গাম্ভীরের ৩৩ ও মানিষ পান্ডের ২৪ রানে ভর করে ১৮৭ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু গুজরাটের টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় এই রানও জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে গুজরাট। অথচ এই দলটির বিপক্ষেই এই আসরে শুরুতে বিশ্বরেকর্ড গড়ে জিতেছিল কেকেআর। কলকাতারই ঘরের মাঠে সেই হারের প্রতিশোধ নিল ফিরতি ম্যাচে। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন গুজরাট লায়ন্সের সুরেশ রায়না। ইএসপিএন ক্রিকইনফো।
সুত্র: ইত্তেফাক।



No comments:
Post a Comment