Saturday, May 13, 2017

বৃষ্টির আগে তামিম মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং


দীর্ঘ প্রস্তুতির পর কেউই আশা করেনি, শুরুটা হবে এমন! প্রতিপক্ষ যখন আয়ারল্যান্ড, ৯ রানে কেন ২ উইকেট হারাতে হবে? শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেটা কোনো সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়নি বাংলাদেশ দলের জন্য। কাল ওয়ালটন ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচটা বৃষ্টিতে পরিত্যক্তই হয়ে গেছে! তার আগে শেষ হয়নি ম্যাচের এক ইনিংসও। ৩১.১ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫৭ রান করেছিল বাংলাদেশ দল। দুই দলই পাবে ২ পয়েন্ট করে।
ডাবলিনের এই ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশের আশা বাড়িয়ে দিয়েছিল বেলফাস্টের প্রস্তুতি ম্যাচ। সেঞ্চুরিয়ান সাব্বির রহমানসহ সবার আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে ১৯৯ রানের বিশাল জয় দেখে মনে হয়েছে, বাংলাদেশের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি নেই। আয়ারল্যান্ড আর সাসেক্সের ক্যাম্প মিলে সে কাজটা ভালোই হয়েছে।
কিন্তু কাল টস জিতে বল হাতে নিয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত আনল আইরিশরা। সকালের ঝিরিঝিরি বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হয়েছে নির্ধারিত সময়ের ২৫ মিনিট পর। মালাহাইড ক্রিকেট ক্লাব মাঠের সবুজ উইকেটও হয়ে উঠেছিল আরেকটু পেসসহায়ক। আউট হওয়ার দুই বল আগে সৌম্য সরকার ডিপ পয়েন্ট দিয়ে পিটার চেজকে বাউন্ডারিতে পাঠালেও এই মিডিয়াম পেসারের বলই পরে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য দুরূহ হয়ে ওঠে। শর্ট বলে সৌম্যকে কট বিহাইন্ড বানানোর পর নিজের দ্বিতীয় ওভারে ১ রানের ব্যবধানে চেজ ফেরান সাব্বিরকেও। অবশ্য বোলারের যতটা না কৃতিত্ব, ওই আউটে তার চেয়ে বেশি ‘অবদান’ ব্যাটসম্যানেরই ছিল।
প্রস্তুতি ম্যাচে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির পর অবসর নিয়েছিলেন। কাল তিন নম্বরে নেমে যেন সেখান থেকেই ব্যাটিং শুরু করতে চাইলেন সাব্বির! আউট হওয়ার আগে খেলা চেজেরই দুটি বলের কোনোটিতেই স্বচ্ছন্দ ছিলেন না। তবু সাব্বির চেজকেই ‘চেজ’ করতে গিয়ে থার্ড ম্যানে ক্যাচ। কী শট খেলতে গিয়েছিলেন, সেটা তিনি নিজেও জানেন কি না সন্দেহ।
দলের ৯ রানের মধ্যে সৌম্য-সাব্বিরের বিদায় কাঁপিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। তামিম ইকবালের বদলে যাওয়া ব্যাটিংটা না থাকলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারত আরও। অন্য প্রান্তের নড়বড়ে অবস্থা দেখে বাঁহাতি এই ওপেনারের ব্যাট হলো সংযত, ওই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ইনিংস ঠিক এটাই দাবি করছিল তাঁর মতো অভিজ্ঞ আর ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে।
কিন্তু তামিম একা কী করবেন! আরও দুই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম আর সাকিব আল হাসানও যে পারেননি তাঁকে যোগ্য সংগত দিতে। দুজনই আউট হয়েছেন বাজে শট খেলে।
৭০ রানের মধ্যে ড্রেসিংরুমে ফিরে গেছেন ওপরের দিকের চার ব্যাটসম্যান। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোটা সহজ ছিল না। তবে বৃষ্টিতে বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত বাকি খেলায় সেই কঠিন কাজটাই করে দেখাচ্ছিলেন তামিম-মাহমুদউল্লাহ। অবিচ্ছিন্ন ৮৭ রানের জুটি হয়ে গেছে ততক্ষণে। সবচেয়ে বড় কথা, ব্যাট হাতে তাঁদের আত্মবিশ্বাস দেখে মনেই হচ্ছিল না, ওই জুটিটা শুরুর আগ মুহূর্ত পর্যন্তও দারুণ দুঃসময় পার করছিল বাংলাদেশের ইনিংস।
সংযত ব্যাটিংয়েও তামিম আত্মবিশ্বাসী ছিলেন শুরু থেকে। ৭৬ বলে ফিফটি পূর্ণ করেছেন ম্যাকার্থিকে স্ট্রেট ড্রাইভে চার মেরে। ওই ওভারেই এর আগে বাউন্ডারি ছিল আরও একটা। এর আগে চাপের মধ্যে টিম মারটাগকেও মেরেছেন পরপর দুই বাউন্ডারি। খেলা বন্ধ হওয়ার আগে নামের পাশে ৮৮ বলে অপরাজিত ৬৪। আর মাহমুদউল্লাহর তো প্রথম স্কোরিং শটটাই ম্যাকার্থিকে চার মেরে। ঘরোয়া ক্রিকেটের ফর্ম ধরে রেখে প্রস্তুতি ম্যাচে করেছিলেন ৪৯। কালও তাঁর ব্যাটে ছিল সেই ধারা। ৫৬ বলে অপরাজিত ৪৩ রানে চার বাউন্ডারি। বাঁহাতি স্পিনার ডকরেলকে তাঁরই মাথার ওপর দিয়ে মেরেছেন বাংলাদেশের ইনিংসের একমাত্র ছক্কাটি।
তামিম-মাহমুদউল্লাহ মিলে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ইনিংসটা কোথায় নিয়ে যেতে পারতেন, বৃষ্টির বাধায় সেটি আর দেখা যায়নি। স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে পরিত্যক্ত হয়ে যায় ম্যাচ। ডাবলিন তখনো ভিজছিল বৃষ্টিতে।
সুত্র: প্রথম আলো।

Wednesday, May 3, 2017

১০ জনের আবাহনীর প্রতিশোধ


মাসও পেরোয়নি। এএফসি কাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ক’দিন আগেই এ দলটির কাছে ২-০ গোলে হেরে ঢাকায় ফিরেছিল ঢাকা আবাহনী। এবার বাগে পেয়ে সেই দলটিকেই হারিয়ে দিল আকাশি-হলুদ শিবির। জয়টাও এসেছে সমান ব্যবধানে। বলতে গেলে ভারতের আই লীগের গত আসরের চ্যাম্পিয়ন বাঙ্গালোরকে হারিয়ে প্রতিশোধই নিল মামুন মিয়া বাহিনী। বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফিরতি লেগের ম্যাচে সফরকারী বাঙ্গালোর এফসিকে ০-২ গোলে হারিয়েছে দশজনের ঢাকা আবাহনী। জয়ী দলের হয়ে ৮৭ মিনিটে শাহাজ উদ্দিন এবং অতিরিক্ত সময়ে গোল করেন রুবেল মিয়া।
ঘরের মাঠে দুর্দান্ত ঢাকা আবাহনী, যা দেখা যায় না অ্যাওয়ে ম্যাচে। ঘরের মাঠে এর আগে মালদ্বীপের মাজিয়া রিক্রিয়েশন ক্লাবের কাছে ২-০ গোলে হারলেও ভারতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ম্যাচে মোহনবাগানের কাছে ৩-১ এবং তৃতীয় ম্যাচে বাঙ্গালোরের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল ঢাকা আবাহনী। এএফসি কাপের অ্যাওয়ে ম্যাচে এ বাঙ্গালোরের কাছেই তারা হেরেছিল ০-২ গোলে।

তবে শেষে নয়, ম্যাচের শুরুতেও গোলের সুযোগ এসেছিল স্বাগতিকদের। কিন্তু ১২ মিনিটে নেয়া রুবেল মিয়ার শট অল্পের জন্য জড়ায়নি জালে। মিনিট পাঁচেক পর প্রতিপক্ষের একজনকে কাটিয়ে ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন ফরোয়ার্ড রুবেল মিয়া। তার ক্রস নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমেকা ডার্লিংটন পায়ের সংযোগও ঘটান বলে। কিন্তু বল জালে না ঢুকে চলে যায় মাঠের বাইরে। হতাশার আগুনে পুড়েন দ্রাগো মামিচের শিষ্যরা। প্রথমার্ধে বাঙ্গালোরের সঙ্গে প্রায় সমানতালেই খেলেছে ঢাকা আবাহনী। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে অফ-সাইডের ফাঁদে পড়ে একটি গোল বাতিল হয় বাঙ্গালোরের। তবে ম্যাচের ৮০ মিনিটে দশজনের দলে পরিণত হয় ঢাকা আবাহনী। ডিফেন্ডার নাসিরুদ্দিন চৌধুরী ম্যাচে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। হতাশা জেকে ধরে স্বাগতিকদের। তবে নাসিরকে হারানোর প্রতিজ্ঞা বাড়ে ঢাকা আবাহনীর। আর ৮৭ মিনিটের গোলে বদলে যায় ম্যাচের গল্পটাও। ডানপ্রান্ত থেকে জনাথন ডেভিডের ক্রস বুঝে নিয়ে দুর্দান্ত শটে বঙ্গালোরের জাল কাঁপান তরুণ উদীয়মান (বদলি) ফুটবলার সাদ উদ্দীন (১-০)। উল্লাসে মেতে ওঠে স্বাগতিক শিবির। তবে গোল হজম করে অনেকটাই মনোবলও হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। অন্যদিকে

গোল পেয়ে যেন আরও উজ্জীবিত

হয়ে ওঠে মামুন বাহিনী। পরের মিনিটে আরও একটি সুযোগ সৃষ্টি করেন জনাথন। ডান প্রান্ত দিয়ে তার নেয়া দারুণ শট বাঁ পোস্ট ঘেঁষে অল্পের জন্য চলে যায় মাঠের বাইরে। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে নিজের পোস্ট ছেড়ে প্রায় মাঝ মাঠে চলে আসেন বাঙ্গালোরের গোলকিপার। সুযোগটা হাতছাড়া করেনি আকাশি-হলুদরা। বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে ফাঁকা পোস্টে বল জড়িয়ে দেন ফরোয়ার্ড রুবেল মিয়া (২-০)। আরও একবার উল্লাসে ফেটে পড়েন খেলোয়াড় ও সমর্থকরা। আর কোনো দল গোলের দেখা না পাওয়ায়

২-০ ব্যবধানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ঢাকা আবাহনী।

ম্যাচে হাসি মুখেই সংবাদ সম্মেলনে প্রবেশ করেন সাদ উদ্দিন। এসেই বলেন, ‘গোল করতে পারলে আমার আত্মবিশ্বাস বাড়ে। এ ম্যাচে সেটাই ফিরে পেয়েছি। আশা করি, সামনের ম্যাচেও আমি দলকে আরও গোল উপহার দিতে পারব।’ দলের ক্রোয়েশিয়ান কোচ দ্রাগো মামিচের কথা, ‘ছেলেদের খেলায় আমি খুশি। ওরা আমাকে জয় উপহার দিয়েছে। আশা করি, এ ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও বজায় রাখবে।’ অন্যদিকে হতাশ বাঙ্গালোরের স্প্যানিশ কোচ আলবার্তো রোকা পিউল। তার কথায়, ‘আমি খুবই হতাশ হয়েছি। তিনটি ম্যাচ জেতার পর হার মানতে হল। তবে প্রথমার্ধে দু’তিনটি গোলের সুযোগ নষ্ট না হলে ম্যাচটি আমরাই জিততাম। তবে এখন এটা সত্যি যে, আমরাই হেরেছি। আশা করি, পরের ম্যাচে ছেলেরা ঘুরে দাঁড়াবে।’

সূত্র: যুগান্তর।

সরাসরি বিশ্বকাপের স্বপ্ন উজ্জ্বল বাংলাদেশের


ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিং হালনাগাদ করেছে। সর্বশেষ প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে এক পয়েন্ট কমেছে বাংলাদেশের। তবে তারপরও স্বস্তিতেই রয়েছে টাইগাররা। বাংলাদেশের নিকটতম তিন প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ পয়েন্ট হারানোয় আপাতত কোনো ক্ষতি হয়নি মাশরাফিদের। র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ এখনো সাত নম্বরেই রয়েছে। তবে আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভালো করতে পারলে মাশরাফির দল এক ধাপ এগিয়ে ছয় নম্বরে উঠতে পারবে। অন্যদিকে নয় নম্বরে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকায় আগামী বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার স্বপ্ন উজ্জ্বল হলো বাংলাদেশের।

আইসিসি প্রকাশিত সর্বশেষ ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকা যথারীতি শীর্ষেই রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া দুই এবং ভারত রয়েছে তিন নম্বরে। বাংলাদেশ ১ পয়েন্ট হারালেও পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ব্যবধান কমেছে টাইগারদের।

সাত নম্বরে থাকা বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট ৯১। ৫ পয়েন্ট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার রেটিং কমে দাঁড়িয়েছে ৯৩-তে। ২ পয়েন্ট কমে যাওয়ায় পাকিস্তান ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে আটে এবং ৪ পয়েন্ট কমে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে নয় নম্বরে রয়েছে।

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে যেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে আসছে সেটি অব্যাহত রাখতে পারলে ২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করে নিতে পারবে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত সময়সীমার মধ্যে শীর্ষ আটে থাকা দল বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নেবে। ৯ এবং দশ নম্বরে থাকা দল দুটিকে দশ দলের বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে বাছাইপর্বে অংশ নিতে হবে।

১২ মে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড ছাড়া তৃতীয় দল হিসেবে অংশ নেবে নিউজিল্যান্ড। সেখানে ভালো করতে পারলে রেটিং পয়েন্ট বাড়ার পাশাপাশি ছয় নম্বরে ওঠার সুযোগ থাকছে বাংলাদেশের। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে ১২ পয়েন্ট এগিয়ে থাকায় সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন আরো উজ্জ্বল হলো টাইগারদের।

আইসিসির র‌্যাঙ্কিং: (বন্ধনীতে রেটিংয়ের যোগ-বিয়োগ)

১. দক্ষিণ আফ্রিকা ১২৩ (+৪)

২. অস্ট্রেলিয়া   ১১৮  (০)

৩. ভারত     ১১৭  (+৫)

৪. নিউজিল্যান্ড  ১১৫  (+২)

৫. ইংল্যান্ড      ১০৯ (+১)

৬. শ্রীলঙ্কা      ৯৩   (-৫)

৭. বাংলাদেশ     ৯১   (-১)

৮. পাকিস্তান     ৮৮  (-২)

৯. ওয়েস্ট ইন্ডিজ   ৭৯  (-৪)

১০. আফগানিস্তান  (৫২)  (০)

সূত্র; সমকাল।

প্রস্তুতি ম্যাচে মুশফিকুরের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি


আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সফরে নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিং অনুশীলনটা ভালোভাবেই সাড়লো বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। গতরাতে সাসেক্সের অ্যারুনডেল ক্যাসল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ডিউক অব নরফোকের বিপক্ষে ব্যাট হাতে দারুণ এক সেঞ্চুরি করেছেন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মুশফিকুর। তার অপরাজিত ১৩৪ রানের সুবাদে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৪৫ রানের পাহাড় গড়ে টাইগাররা।
 
জবাবে ১৮ ওভারে বিনা উইকেটে ১০১ রান তুলে ফেলে ডিউক অব নরফোক। এরপর বৃষ্টির জন্য বন্ধ হয়ে যায় খেলা। পরবর্তীতে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
 
মুশফিকুরের ৯৮ বলের ইনিংসে ১৪টি চার ও ১টি ছক্কা ছিলো। মুশি ছাড়াও বাংলাদেশের হয়ে সৌম্য সরকার ৬৪ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৭৩ রান করেন। সৌম্যর সাথে ওপেনার হিসেবে খেলতে নেমে ৭টি চারে ৪০ বলে ৪৪ রান করেন ইমরুল কায়েস। এছাড়া নাসির হোসেন ৩০ বলে ২৬ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ৩৪ বলে ৩১ রান করেন।
 
আগামী ৫ মে নিজেদের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে সাসেক্স একাদশের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

সূত্র: ইত্তেফাক।

১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে উইন্ডিজ


সিরিজে  প্রথমবারের মতো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে। হাতে ৬ উইকেট নিয়েই ১৫৪ রানে এগিয়ে গিয়েছিল স্বাগতিক দল। কিন্তু ইয়াসির শাহের স্পিন বিষে আবারও ব্যাকফুটে জেসন হোল্ডাররা। চতুর্থ দিন শেষে ৯ উইকেটে হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছে ২৬৪ রান। ১৮৩ রানের লিড নিয়ে শেষ দিনে খেলতে নামবেন দেবন্দ্র বিশদ ও শ্যানন গ্যাব্রিয়েল।
অথচ এক ঘণ্টা আগেই ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। ব্রিজটাউন টেস্টে উইন্ডিজরাই এগিয়ে গিয়েছিল। ১৫৫ রানে চতুর্থ হারানো ক্যারিবীয়দের পথ দেখাচ্ছিলেন শাই হোপ ও ভিশল সিং। এ দুজনের ২৯ ওভারের পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৮০ রান পেয়েছে স্বাগতিক দল। চতুর্থ দিন শেষে ভালো একটা লিডের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক হোল্ডার। আর ভাঁজ পড়তে শুরু করেছিল পাকিস্তানি অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হকের কপালে।
মাত্র ৮ বলে সব বদলে গেল। প্রথমে হোপকে (৯০) নিজের বোলিংয়ে তালুবদ্ধ করেছেন ইয়াসির। ঠিক পরের বলেই সিং (৩২) বোল্ড হয়েছেন মোহাম্মদ আব্বাসের বলে। পরের ওভারের প্রথম বলেই ইয়াসিরের ধাক্কা। অধিনায়ক হোল্ডার স্লিপে ইউনিস খানের দুর্দান্ত এক ক্যাচের শিকার হয়ে ফিরেছেন। ৮ বলের এই তাণ্ডবের মাঝে মাত্র ১ রানই তুলতে পেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৪ উইকেটে ২৩৫ রান থেকে মুহূর্তেই ৭ উইকেতে ২৩৬ এ রূপ নেওয়া স্কোরকার্ডটা আর ভদ্রস্থ রূপ ফিরে পায়নি। ১৬ রান পরেই ফিরেছেন শেন ডাউরিচ। ২৬১ রানে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরেছেন আলজারি জোসেফ। দুজনই ইয়াসিরের লেগ স্পিনের শিকার।
সব মিলিয়ে ৯০ রানে ৬ উইকেট পেয়েছেন পাকিস্তানি লেগ স্পিনার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের চতুর্থ দিনে অলআউট হওয়া আটকানো দেবেন্দ্র বিশদ অপরাজিত ১৬ রানে।

সূত্র: প্রথম আলো

Saturday, April 29, 2017

সাসেক্সে প্রস্তুতিতে ব্যস্ত টাইগাররা




জুন মাসের প্রথম দিন থেকে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। বিশ্বকাপের মতোই বড় পরিসরের আসর এটি। আসরের প্রস্তুতি হিসেবে আয়ারল্যান্ডে তিন জাতি ক্রিকেট সিরিজে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটি শুরু হবে ১২ মে। সেই লক্ষ্যে ইংল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাসেক্সে পুরোদমে প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে টাইগাররা।
গত ২৬ এপ্রিল মধ্যরাতে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে মাশরাফি বাহিনী। দুবাইতে ট্রানজিট এরপর দীর্ঘ বিমান ভ্রমণ শেষে ২৭ তারিখ বিকাল নাগাদ লন্ডনে পৌঁছায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। প্রথম দিন বিশ্রাম নেয়ার পর শুক্রবার থেকেই অনুশীলনে নেমে পড়ে ক্রিকেটাররা। সাসেক্সের সেন্ট্রাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডের ইনডোর এবং আউটডোরে প্রথম দিন শরীর গরম করে নিয়েছেন মাশরাফি, মিম, মুশফিকরা।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং আয়ারল্যান্ড সিরিজের জন্য ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তাদের মধ্যে ১৬জন গিয়েছেন লন্ডনে। আইপিএল খেলার কারণে পেসার মুস্তাফিজুর রহমান এবং অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান রয়ে গেছেন ভারতে। তাদের লন্ডনে দলের সঙ্গে যোগ দেয়ার কথা ৫ মে। এর আগে ৩ মে রাতে দেশে ফিরবেন মুস্তাফিজ। ৪ মে সকালে দেশে আসবেন সাকিব। এরপর ওইদিন রাতেই দু'জন একসঙ্গে আবার লন্ডনের উদ্দেশ্যে বিমানে উঠবেন।
বিসিবি থেকে সরবরাহ করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে হোভের সেন্ট্রাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডের ইনডোরে ওয়ার্মআপ করছেন ক্রিকেটাররা। এরপর কিছুক্ষণ নেটেও কাটান তারা। শুধু তাই নয়, সাসেক্সের সেন্ট্রাল উইকেটে নেট লাগিয়েও অনুশীলন করতে দেখা গেছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের। এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নিজেদের মাঠে অনুশীলনের সুযোগ করে দিতে পেরে দারুণ খুশি সাসেক্স কর্তৃপক্ষ। নিজেদের অফিসিয়াল টুইটার পেজে এক টুইট বার্তায় সাসেক্স জানিয়েছে, 'নরফক একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের অনুশীলনের সুযোগ করে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।'
সাসেক্সে ১০ দিনের ক্যাম্পে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে মাশরাফিবাহিনী। এরপর ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে আয়ারল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ। ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্দেশ্যে আবার ইংল্যান্ড ফিরবে টাইগাররা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পর্যায়ক্রমে ইংল্যান্ড (১ জুন ওভালে), অস্ট্রেলিয়া (৫ জুন ওভালে) এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে (৯ জুন কার্ডিফে) গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হবে মাশরাফির দল। এর আগে দু্ই প্রতিবেশী পাকিস্তান আর ভারতের সঙ্গে দুটি অনুশীলন ম্যাচ খেলারও কথা রয়েছে তাদের।
২০০৬ সালের পর বাংলাদেশ প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নিচ্ছে। সেবার বাংলাদেশ খেলেছিল হাবিবুল বাশার সুমনের নেতৃত্বে। এবার মাশরাফির নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশকে। মাশরাফি ছাড়া বাংলাদেশের বর্তমান স্কোয়াডের কেবল সাকিব আল হাসানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। এছাড়া বর্তমান দলটির বেশিরভাগ ক্রিকেটারেরই ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। এ কারণেই গাঁটের পয়সা খরচ করে টাইগারদের জন্য সাসেক্সে অনুশীলন ক্যাম্প করেছে বিসিবি।


সূত্র: যায়যায় ‍দিন।

মেসিরই হচ্ছে পিচিচি, গোল্ডেন বুট!


এটা পরে মাঠ দাপিয়ে বেড়ানো যায় না। এ জুতা পায়ে গলানোর কথাও আসলে ভাবা সম্ভব নয়। তবু ইউরোপের ‘সোনার জুতা’ পেতে সর্বস্ব ঢেলে দেন নামীদামি সব ফরোয়ার্ড। তবে এবার ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু-র দৌড়টা একটু একপেশে হয়ে উঠেছে। নাটকীয় কিছু না হলে এবার এ পুরস্কার লিওনেল মেসির দখলে প্রায় চলেই গেছে!
এক মাস আগেও দৌড়টা জমেছিল বেশ। কিন্তু মৌসুমের শেষ দিকে সব আগ্রহে জল ঢেলে দিয়েছেন মেসি। শুক্রবার রাত পর্যন্ত লিগে ৩০ ম্যাচে ৩৩ গোল করে ফেলেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। লা লিগায় তাঁর পরেই আছেন বার্সা সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ। তবে মেসির চেয়ে ১০ গোল কম করেছেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর চেয়েও এগিয়ে আছেন ১৩ গোলে। তাই এ বছর পিচিচি ট্রফিটা (লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার) একরকম বগলদাবা করে নিয়েছেন মেসি। তিন বছর ধরে যে পুরস্কারটা রোনালদো আর সুয়ারেজই নিয়ে নিচ্ছিলেন বারবার। এবার জিতলেই রোনালদোকে (তিনবারের পিচিচি বিজয়ী) টপকে ফেরেঙ্ক পুসকাসকে (চারবার) ধরে ফেলবেন মেসি। তাঁর সামনে থাকবেন শুধু হুগো সানচেজ, কুইনি, আলফ্রেডো ডি স্টেফানো (পাঁচবার) ও তেলমো জারা (ছয়বার)।
সে তুলনায় ইউরোপের সেরা হতে একটু অপেক্ষায় থাকতে হবে মেসিকে। মাত্র এক মাস আগেও এ দৌড়ে অপ্রত্যাশিতভাবে এগিয়ে ছিলেন স্পোর্টিং ক্লাব ডি পর্তুগালের ডাচ স্ট্রাইকার বাস দস্ত। পর্তুগিজ লিগে ২৩ ম্যাচে ২৪ গোল করে ফেলেছিলেন দস্ত। ২৩ গোল নিয়ে পিছিয়ে ছিলেন মেসি। তাঁর সঙ্গে সমতায় ছিলেন পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং। সে তুলনায় রোনালদো পিছিয়ে ছিলেন না খুব একটা, ১৯ গোল ছিল রিয়াল ফরোয়ার্ডের। কিন্তু গত ১২ মার্চ রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে গোল করার পর অবশেষে কাল লা লিগায় গোল পেয়েছেন রোনালদো।
এরপর জোড়া গোলের পসরা সাজিয়ে পাঁচ ম্যাচে ১০ গোল করেছেন মেসি। পর্তুগিজ প্রিমেরা লিগায় দস্ত করেছেন শুধু ৪ গোল। ফলে মেসি এগিয়ে গেছেন ৫ গোল কিংবা ১০ রেটিংয়ে। দস্তের (২৮ গোল) পর আছেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের অবামেয়াং (২৭ গোল)। এডিনসন কাভানি ৩১ গোল করলেও যেহেতু ফরাসি লিগের রেটিং ১.৫, মেসির চেয়ে ১৯.৫ পয়েন্টে পিছিয়ে আছেন পিএসজি স্ট্রাইকার। তাই তিন বছর পর মেসির ইউরোপিয়ান শু জেতার সম্ভাবনাটা বেশ উজ্জ্বল। চতুর্থবারের মতো ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে সে ক্ষেত্রে রোনালদোকে ছুঁয়ে ফেলবেন মেসি।
চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বার্সেলোনা ছিটকে গেলেও ব্যক্তিগত একটা অর্জন কিন্তু হাতছানি দিচ্ছে মেসিকে। এ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে ১১ গোল করেছেন মেসি। আর কোয়ার্টার ফাইনালে হ্যাটট্রিকের পরও রোনালদোর গোল ৭। হাতে অন্তত দুই ম্যাচ পাচ্ছেন, তাতে রোনালদো ৪ গোল করতে না পারলে এবারের সর্বোচ্চ গোলদাতা মেসিই হচ্ছেন। 
সূত্র: মার্কা।

বৃষ্টির আগে তামিম মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং

দীর্ঘ প্রস্তুতির পর কেউই আশা করেনি, শুরুটা হবে এমন! প্রতিপক্ষ যখন আয়ারল্যান্ড, ৯ রানে কেন ২ উইকেট হারাতে হবে? শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেটা ক...